বিসিবির লভ্যাংশের ভাগ চান ক্রিকেটাররা

আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) ১৩ দফা দাবির চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিকেল ৪টায় ডাক, কুরিয়ার ও ইমেইল যোগে ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে ১৩টি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।

ক্রিকেটারদের ১৩ দফা দাবিগুলো হলো-

১. ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সরাসরি পদত্যাগ করতে হবে। সংগঠনটির স্বাধীনতার জন্য এমন সিদ্ধান্ত মানতে হবে।

২. প্রফেশনাল ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন থাকবে যার একটা প্রসেস থাকবে যেখানে শুধু খেলোয়াররা থাকতে পারবে। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম এই ধরনের ক্রিকেট সংগঠন গড়ে ওঠে যেটা ক্রিকেটারদের স্বার্থ দেখবে। আমাদের দেশেরও সেরকম প্রতিষ্ঠান দরকার।

৩. ঢাকার যত লিগ আছে তা পুর্বের নিয়মে চলতে হবে। প্লেয়ার্স বাই চয়েস নিয়মে ফেরত যেতে হবে। ক্রিকেটাররা এমনভাবে খেলতে আগ্রহী। বিপিএলও একইভাবে চলতে হবে। আগের মত চলতে হবে। বিপিএলে দেশী বিদেশীদের মধ্যে মুল্যের তারতম্য রাখা যাবে না।

৪. প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি কমপক্ষে এক লাখ টাকা থাকতে হবে।

৫. সারা বছর কোচ, ফিজিও নিয়োগ রাখতে হবে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।

৬. ন্যাশনাল টিমের কন্ট্রাকটেড প্লেয়ারদের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ জন হতে হবে।

৭. লোকাল স্টাফ, কোচ, গ্রাউন্ডসম্যানদের বেতন অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের মত সমমানের হতে হবে।

৮. অতিরিক্ত দেশিয়দের জন্য টি টোয়েন্টি লিগের আয়োজন করতে হবে।

৯. বছরজুড়ে ক্রিকেট সূচি থাকতে হবে এবং সেটা একইরকমভাবে থাকতে হবে। কোনরকম ভঙ্গ করা যাবে না।

১০. প্লেয়ারদের সব পাওনা সময়মতো পরিশোধ করতে হবে। এবং সিজনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

১১. দুটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে দিতে হবে। কোন রেষ্ট্রিকশন রাখা যাবে না। জাতীয় পর্যায়ের খেলা ছাড়া কোনো সময় নিষেধ করা যাবে না।

১২. বিসিবির যে রেভিনিউ থাকবে তার একটা অংশ ক্রিকেটারদের দিতে হবে। ভারতের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কমার্শিয়াল হতে হবে।

১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও একইরকম সুবিধা প্রদান করতে হবে ঠিক যেমনটা ছেলেরা সুবিধা পেয়ে থাকে।

এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) বেতন-ভাতাসহ জাতীয় লিগ, ঘরোয়া লিগ, জিমের সুবিধা, বাজে আম্পায়ারিংসহ নানা ইস্যুতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন ক্রিকেটাররা। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নয়ন ও বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। দাবি না মানা পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদের বিরত রাখার ঘোষণা দেন সাকিবরা।